international update info

সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ ।

Full width home advertisement

Travel the world

Climb the mountains

Post Page Advertisement [Top]

মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা এখনো গণহত্যার হুমকিতে: "জাতিসংঘ" !!!

মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা এখনো গণহত্যার হুমকিতে: "জাতিসংঘ" !!!
জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন’ বা তথ্যানুসন্ধান দল সোমবার তাদের প্রতিবেদনে এ ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে আবারও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কয়েকজন জেনারেলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছেঃ এখনো রাখাইন রাজ্যে প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে বাস করছে। তাদের চলাফেরার উপর এত বেশি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে যে তার প্রভাব তাদের মৌলিক মানবিক চাহিদার উপরও পড়েছে।
“এসব কারণে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী, যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে তাদের রাখাইনে ফেরা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।”
অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকার আইনজীবী এবং জাতিসংঘ প্যানেলের সদস্য "ক্রিস্টোফার সিডটি" এক বিবৃতিতে বলেন, “সেখানে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গারা এখনো গণহত্যার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।”
২০১৭-সালের অগাস্টে রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি সীমান্ত পুলিশ পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলার পর সন্ত্রাস দমনের নামে সেখানে, বিশেষ করে রোহিঙ্গা মুলসমান অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে সেনাবাহিনী গণহত্যা, ধর্ষণ এবং বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাড়িঘর ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ মনোনীত তদন্ত প্যানেল তাদের প্রতিবেদনে ‘জাতিগত নিধনের উদ্দেশ্যে’ মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে বলে জানায়।
প্রতিবেদনটিতে এজন্য মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু মিয়ানমার গতবছরের ওই প্রতিবেদনে উল্লিখিত বেশির ভাগ অভিযোগই অস্বীকার করেছে।
নতুন প্রতিবেদনে মিয়ানমারের উত্তরের দুই প্রদেশ শান ও কোচিনে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সেনাবাহিনী একই ধরনের ‘অত্যাচার ও নিপীড়ন’ করছে বলে জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, ওই দুই রাজ্যেও মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিপীড়নের প্রধান অস্ত্র হিসেবে ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নকে ব্যবহার করছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে টেলিফোনে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হতাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাতে সাড়া মেলেনি।
টেলিফোনে সেনাবাহিনীর দুই মুখপাত্রের কাছে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তারাও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জাতিসংঘ প্যানেলের সদস্য ক্রিস্টোফার সিডটি বলেন, “রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন যেভাবে নিষ্ক্রিয় থেকেছে তা হতাশজনক, এর অবসান ঘটাতে হবে।”
“যদি জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবারও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে দুঃখজনক এ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে।”

No comments:

Post a Comment

Bottom Ad [Post Page]