international update info

সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ ।

Full width home advertisement

Travel the world

Climb the mountains

Post Page Advertisement [Top]

নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের অফিস সহায়কের কোটি টাকার ৫-তলা বাড়ি !!!

নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের অফিস সহায়কের কোটি টাকার ৫-তলা বাড়ি !!!
international update info
চট্রগ্রামের ডবল মুরিং থানার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিন তার গ্রামের বাড়িতে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করছেন পাঁচতলা বাড়ি।
বাঁশখালি থানার পাশ দিয়ে একটি সড়ক চলে গেছে পৌর সদরের আঁশকারিয়া পাড়ার দিকে। সড়ক ধরে যেতে চাইলেই যে কাউকেউ জিজ্ঞেস করলে জয়নালের বাড়ি কোনটি সবাই তা দেখিয়ে দিতে পারবে। জয়নাল আবেদিন এলাকার খুব পরিচিত একটি নাম। গ্রামীন এই এলাকার বেশিরভাগ বাড়ি কাঁচা বেড়ার, দু -একটা দোতলা বা তিনতলা পাকা ভবন রয়েছে। এখন যেন সবকিছুকেই পেছনে ফেলে ছাড়িয়ে গেছে জয়নাল আবেদিনের নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবনটি ।
চট্রগ্রামের ডবলমুরিং থানার নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিন (৩৫), কোটি টাকার এই বাড়ি নির্মাণের কাজে হাত দিতেই এলাকায় খুব পরিচিতি লাভ করেন। তার গ্রেপ্তারের খবরও এখন এলাকার সবাই কমবেশি জানেন। নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের ল্যাপটপ ব্যাবহার করে রোহিঙ্গাদের ভোটার করার অভিযোগে গত রোববার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার এক বন্ধুর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২০১৫-সালে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় থেকে খোয়ে যাওয়া একটি ল্যাপটপ।  গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জয়নালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
২০০৪-সালে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পাওয়া জয়নাল আবেদিনের এতো উত্থানের পেছেনে ছিল কমিশনের এই একটি ল্যাপটপ। এই ল্যাপ্টপ ব্যবহার করেই বিপুল পরিমান সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি এটাই মনে করছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট্রা। জয়নাল একা নন এই চক্রের সাথে জড়িত আছেন আরো কয়েকজন। নির্বাচন কমিশনে ঢাকা সহ বিভিন্ন অফিসে জয়নালের অন্তত ১০-জন আত্বীয়-স্বজন কর্মরত রয়েছেন। এলাকার অনেকের অভিযোগ আছে , রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পাঠাতেন জয়নাল ও তার ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
বাঁশখালী পৌর সদরের ৭-নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ হারুন বলেন নির্মাণাধীন বাড়িটি জয়নালের, কয়েক বছরের মধ্যেই কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছে সে, সে রোহিঙ্গাদের ভোটার করে ভাইয়ের মাধ্যমে তাদেরকে বিদেশ পাঠায়।
গত ১৮-আগষ্ট চট্রগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে  স্মার্ট কার্ড তুলতে গিয়ে ধরা পড়ে লাকি আক্তার নামের এক রোহিঙ্গা নারী। এর পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। এর পর কিভাবে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে রোহিঙ্গাদের ভুয়া এন আই ডি প্রদর্শিত হচ্ছে তা নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। কমিশনের সাথে দুদক ও পুলিশ তদন্তে নামেন।
কোটি টাকার বাড়ি ও দালান জয়নালের পৈতৃক বাড়ি আঁশকরিয়া পাড়ার ভেতরে অবস্থিত। দুই ভাই এবং এক বোনের মধ্যে জয়নাল বড়। ছোট ভাই জসিম উদ্দিন কিছু দিন আগে বিদেশ থেকে এসেছেন। দুই বছর আগে জয়নাল তার পৈতৃক বাড়িটি পাকা করেন।  সেখানে মা বাবা স্ত্রী ও ভাইকে নিয়ে থাকনে।
তদন্তের জন্য জয়নালের বাড়িতে গেলে দেখা যায় দরজায় তালা দেয়া। প্রতিবেশীরা জানান মা বাবা সহ সবাই পালিয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, বছর খানেক আগে আঁশকারিয়া মাজারের পাশেই সাড়ে তিন গন্ডার প্রায় ৭-শতক একটি প্লট কেনেন জয়নাল। গন্ডা প্রতি প্রায় ছয় লক্ষ টাকা দামে কেনা প্লটে ছয় মাস আগে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন জয়নাল, জানা যায় ইতিমধ্যে বাড়ির চতুর্থ তলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে, রড সিমেন্ট ইট ভেতরে মজুত আছে পর্যাপ্ত পরিমানেই।
এছাড়া জানা যায় পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডে আরো চার গন্ডার আরেকটি প্লট কেনেছেন জয়নাল। জয়নালের বাবা আব্দুল মনাফ একসময় মাছের ট্রলারের শ্রমিক ছিলেন।



 

No comments:

Post a Comment

Bottom Ad [Post Page]